বিদেশে গিয়ে কেনাকাটা করতে অনেকেই পোশাকের লেবেলে দেখতে পান ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। ব্র্যান্ডটি আন্তর্জাতিক, পণ্যটি বাংলাদেশে তৈরি। গর্ব আর ভালো লাগারই কথা। পোশাকের সঙ্গে আরও যোগ করতে পারেন প্রসাধনীও। বাংলাদেশ থেকে প্রসাধনী পণ্য তৈরি করিয়ে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড বডিশপ। আর সেসবের জোগান দিচ্ছে প্রকৃতি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশে তেমন সহজলভ্য নয়। এখানে নেই তাদের কোনো অনুমোদিত বিক্রয়কেন্দ্রও। তবে এ দেশের শৌখিন মেয়েদের কাছে খুবই পরিচিত প্রসাধনী ব্র্যান্ড বডিশপ। ১৯৭০ সালে যুক্তরাজ্যে যাত্রা শুরু করে তারা। সাবান, শ্যাম্পু, লোশন, সুগন্ধি, মেকআপ ইত্যাদি নানা রকম পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করে তারা।
বাংলাদেশ থেকে দুটি পণ্য নিচ্ছে বডিশপ-বাথ মিট ও সোপ পাউচ। ত্বকের মরা কোষ পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত হয় বাথ মিট (মাজুনি), আর সোপ পাউচ কাজে লাগে টুকরো সাবান রাখার ব্যাগ হিসেবে। বাংলাদেশের শণপাট দিয়ে দেশেই তৈরি হচ্ছে এগুলো। শণপাটকে বলা হয় হেম্প। এই দুটি পণ্য প্রকৃতির তত্ত্বাবধানে বানানো হয় বাংলাদেশের বরিশালে। প্রকৃতির ডিজাইন অ্যাডভাইজার সুরাইয়া চৌধুরী জানালেন এসব তথ্য।
প্রায় ১৫ বছর ধরে বডিশপের সঙ্গে কাজ করছে প্রকৃতি। এখন বডিশপে বছরে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারটি মিট সরবরাহ করছে তারা। প্রতিবছর দেড় কোটি টাকার অর্ডার পাচ্ছে তারা। তবে তাদের পছন্দমতো পণ্য উৎপাদন করতে প্রচুর শ্রম দিতে হয়েছে। ‘বডিশপের ডিজাইনারদের একজন হলেন ক্রিস্টিন জেন্ট। ওয়ার্ল্ড ফেয়ার ট্রেড অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখনই আমাদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তিনিই বললেন, আমরা এই মিট বানাতে পারব কি না। এরপর এক বছর ধরে আমরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্যাম্পল তৈরি করি। শেষ পর্যন্ত ওরা বাছাই করে আমাদের তৈরি পণ্য।’ বললেন সুরাইয়া চৌধুরী।
সাড়ে চার থেকে সাত পাউন্ডে বিক্রি হচ্ছে বডিশপের এই পণ্যগুলো। তাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত পণ্যগুলোর মধ্যে এগুলো রয়েছে। ক্রেতাদের রেটিংয়েও এগুলো বেশ এগিয়ে। চাইলে ঢাকা শহরে বসেও পেতে পারেন এই পণ্যগুলো। ঢাকার ১/১ ব্লক এ, আসাদ গেট রোড, মোহাম্মদপুরে তাদের বিক্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে পারেন।